সোমবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০১৮

স্বামী স্ত্রী ও ক্যারিয়া সুবিধা অসুবিধা/idea box/ক্যারিয়ার tips

স্বামী স্ত্রী  একই ক্যারিয়া এর হলে যে ধরনের সুবিধা অসুবিধা দেখা যায়

সুবিধা :
১. ক্যারিয়ার জীবনে দুজন দুজনকে সাহায্য করে থাকেন।
২. আর্থিক স্বচ্ছলতা বিরাজ করে।
৩. পরিবারের সদস্যদের অসুখে বিসুখে এগিয়ে আসেন।
৪. সন্তানদের অসুখে বিসুখে সুবিধা পাওয়া যায়।
৫. কর্মক্ষেত্র এক জায়গায় হওয়ার সুবিধা।
৬. সাংসারিক গোলযোগ হয় না কারণ একজন আরেকজনের ডিউটির গুরুত্ব সম্পর্কে বোঝেন। তাই গভীররাতে ডিউটি পড়লেই দুজন দুজনকে ছাড় দিয়ে থাকেন।

 অসুবিধা :
১. বাড়িতেই কর্মক্ষেত্র হয়ে যায় ফলে সাংসারিক আনন্দের পরিবর্তে ক্যারিয়ারের কাঠিন্যতাই কাজ করে বেশি।
২. বন্ধু এবং পরিবারের সাথে সম্পর্ক ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যায়।
৩. দুজনের মাঝে আর্থিক প্রতিযোগিতা শুরু হয়। ফলে গোলযোগ দখা দেয়।
৪. ক্যারিয়ারে প্রতিযোগিতার কারণে সাংসারিক গোলযোগ দেখা দেয়।


 ধন্যবাদ

নবম শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের বিভাগ পছন্দ/idea box/ক্যারিয়ার tips


 নবম শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের বিভাগ পছন্দ

বছরের এ সময় নবম শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের বিভাগ পছন্দ করতে হয়। যার উপর নির্বর করে ঐ ছাত্র বা ছাত্রীর ভবিশ্যৎ, ক্যারিয়ার সব কিছু।

বাংলাদেশের প্রায় গণ হারে সবাই কর্মাস বিভাগ পছন্দ করে। আমি জানি না কেনো। তবে যতটুকু জানি তা হচ্ছে সহজ মনে করা। বিজ্ঞানকে কঠিন মনে করা ইত্যাদি।
ছোট কালে কেউ যদি জিজ্ঞেস করত বড় হয়ে কি হবে বাবা? সবাই গন হারে বলত, ডাক্তার,  ইঞ্জিনিয়ার, কেউ বা পাইলট ইত্যাদি।
ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বা পাইলট যাই হতে ইচ্ছে করে তা পছন্দ করার উপযুক্ত এবং এক মাত্র সময় হচ্ছে এই নবম শ্রেনী। তবে তা অবশ্যই কমার্স বা ব্যবসা শিক্ষা শাখা পছন্দ করলে হওয়া যায় না।
আমি জানি না ব্যবস্যা শিক্ষা পড়ে কত জনই নিজেই একটা ব্যবসা দাঁড় করাবে তার চিন্তা করে। বেশির ভাগই চিন্তা করে পাশ করে কোন ভাল কম্পানিতে বা ব্যাঙ্কে জব করার।।
ব্যবসা শিক্ষা শাখার মধ্যে উচ্চ শিক্ষার জন্য সাবজেক্ট তুলনা মূলক ভাবে কম এবং ছাত্র ছাত্রী সংখ্যা অনেক বেশি। পরে বিশাল একটা প্রতিযোগিতা করতে হয়। এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অনেকেই উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে নিজের পছন্দের বিষয়টি পড়তে পারে না। এবং শেষে দেখা যায় অনেকেই যেটা পছন্দের নয় এমন একটি বিষয় বা মানবিক শাখার একটি বিষয় নিয়ে পড়ালেখা করতে হয়।
বিজ্ঞান বিভাগে বিষয় সংখ্যা অনেক বেশি। পড়ালেখার সুযোগ বেশি। ভালো একটা ক্যারিয়ার তৈরির ও সুযোগ তুলনামূলক ভাবে অনেক বেশি। তা ছাড়া ছোট কালের স্বপ্ন গুলো সত্যি করার ও সুযোগ এ বিজ্ঞান বিভাগেই।।
অনেকেই মনে করে বিজ্ঞান বিভাগ অনেক কঠিন। আসলেই কি তাই? আমাকে যদি জিজ্ঞেস করে বিজ্ঞান কি, আমি বলব কত গুলো প্রশ্ন এবং ঐ প্রশ্ন গুলোর উত্তরই হচ্ছে বিজ্ঞান। এ প্রশ্ন গুলো আমাদের সবার মাথাতেই আসে। যেমন বৃষ্টি হয় কেন? চাঁদের আলো বাড়ে কমে কেনো? ইত্যাদি, এমন কত গুলো প্রশ্নের উত্তর নিয়েই বিজ্ঞান। আর উত্তর গুলো যত জানা যাবে, তত আগ্রহ বেড়ে যাবে। এতে কঠিন কিছুই নেই।
অনেকেই ভয় পায় গণিতকে। ব্যবসা শিক্ষা শাখাতেও অংক করতে হবে, বিজ্ঞানেও। তাই যদি পছন্দ করতেই হয়, কেন আমরা ভালোটা পছন্দ করব না??
আমি যত টুকু দেখেছি, বিজ্ঞানে পাশের হার বেশি। এর মানে এই না যে সারাদিন পড়তে হয় বা যারা বিজ্ঞান বিভাগে পড়ে, তারা সারাদিন পড়ালেখা করে। এর মানে হয়তো এটাই যে বিজ্ঞানের বিষয় গুলো পড়ার আগ্রহ, জানার আগ্রহ বাড়িয়ে দেয়। তাছাড়া কোন একটা বিষয় বুঝতে পারলেই তা সম্পর্কে পরীক্ষার সময় লেখা যায়। আর মুখস্ত বিদ্যাকে না বলে এই বিজ্ঞানই।
উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে সত্যি, বিজ্ঞান বিভাগের জন্য সব দিক খোলা। যা পছন্দ তাই পড়ার সুযোগ থাকে। একটা ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সুযোগ না থাকলে আরেকটাতে পড়া যায়।
ব্যবসা শিক্ষা শাখায় পড়লে ক্যারিয়ার খারাপ হবে এমন কিছুও না। সব গুলো বিষয়ই ভালো এবং সব যায়গা থেকেই ভালো করা যায়। এবং সবাই যে মনে করে ব্যবসা শিক্ষা শাখার বিষয় গুলো সহজ, তাও না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের বিষয় গুলো থেকেও কঠিন। তাই কঠিন মনে করে বিজ্ঞান বিভাগ ত্যাগ করে ব্যবসা শিক্ষা কে পছন্দ করলে মনে হয় না ভালো করা যাবে। কারণ যে সহজ কিছু খুজতে যাবে, তার কাছে সব কিছুই কঠিন লাগবে। আর কেউ যদি মনে করে না, আমি ব্যবসা শিক্ষা পড়ে ভালো করতে পারব, তাহলে তাই করা উচিত।
  ভাবা উচিত---------
  *সমাজে  কি করতে ভাল  লাগে?
 *কি করতে পারলে-  তৃপ্তি লাগবে?
 *কি করতে পারলে -  মনে হবে অর্থ বিত্ত না পাই  মনের মত কাজ তো  করতে পারি !
জীবনে কি হওয়া পছন্দ, তা ঠিক করার সময় এখনি। এ ক্ষেত্রে অন্য কারো মতকে প্রাধান্য না দিয়ে নিজের ইচ্ছেটাকে প্রাধান্য নেওয়া উচিত। কারণ জীবনের বাকী সময় নির্বর করবে এর উপরই।

যে কারণে ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ভর্তি হতে পার/ idea box/ হিসাববিজ্ঞান/আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি


যে কারণে তুমি ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ভর্তি হতে পার!


 এটা পারফেক্ট বিষয় হতে পারে। ব্যবসায় শিক্ষা যদি তোমার ভাল না লাগে তবে এই ১০টি কারণকে তুমি মন্দের ভালও বলতে পারো।
Image result for ব্যবসায় শিক্ষাImage result for ব্যবসায় শিক্ষা


১। বিষয়টা সৃজনশীল

ব্যবসায় শিক্ষা কাঠখোট্টা নয় বরং খুবই ইন্টারেস্টিং একটা বিভাগ। তাত্ত্বিক বিষয়গুলো পড়লেই দেখবে যে বিষয়গুলো তেমন একঘেয়ে নয়। অনেকেই মনে করে, “ব্যবসায় শিক্ষা! শুধু মুখস্থের ব্যাপার”। কিন্তু বাস্তবে এখানে ভাল করার সবচেয়ে বড় উপায় হচ্ছে মুখস্থ না করে বুঝে বুঝে পড়া। কারণ মুখস্থ করলে কখনোই তুমি ব্যবসায় শিক্ষা থেকে ভাল ফল আশা করতে পারবেনা। আর হিসাববিজ্ঞানটা মন দিয়ে একটু চর্চা করলেই আমি বাজি ধরে বলতে পারি যে, এই বিষয়টাই একদিন তোমার সবচেয়ে প্রিয় বিষয় হয়ে উঠবে!

২। এগিয়ে যাবে এক্সট্রা-কারিকুলারে

তুমি যদি অনেক মনোযোগ দিয়ে পড় তাহলে দেখবে যে পরীক্ষার অনেক আগেই তোমার পড়া সব শেষ। অথচ তখনো অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা ব্যবহারিক খাতা নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করতে থাকবে। তো, এই স্পেয়ার টাইমটায় তুমি কি করতে পারো? হাতে তুলে নাও তোমার গিটারটা আর করে ফেলো কোনো জনপ্রিয় গানের কভার। কিংবা পড়ে ফেলো একটা ফাটাফাটি উপন্যাস! আর চাইলে তুমি কিন্তু তোমার পড়া জিনিষগুলোই আরেকবার রিভাইস করে ফেলতে পারো।


 ৩। বিষয়গুলো পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত

ব্যবসায় শিক্ষার একটা বিষয়ের সাথে অন্য বিষয়ের অনেক মিল পাওয়া যায়। যেমন ধরো, হিসাববিজ্ঞান ও ফিন্যান্স; এমন প্রতিটা বিষয়ই পড়তে গেলে দেখবে অন্য বিষয়ের সাথে কিছু মিল পাওয়া যাচ্ছে।


৪। বিষয়গুলো নতুন এবং মজার

এর আগে যে বিষয়গুলো পড়েছো সেগুলো আর ভাল লাগছেনা? নতুন কিছু নিয়ে পড়তে চাও? তাহলে ব্যবসায় শিক্ষা শাখাই তোমাকে সাহায্যের হাত বাড়াবে কারণ আমি হলফ করে বলতে পারি যে এখানে তুমি এমন কিছুই পাবে না যা আগের ক্লাগুলোতে পড়ে এসেছো।

 সহজ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা

সত্যি বলতে কি, বিজ্ঞান বিভাগের তুলনায় আমার লেখাপড়ার সেক্টর খু-উ-ব কম কিন্তু প্রতিযোগীতা অনেক বেশি। আর তার থেকেও কম হচ্ছে ভার্সিটিতে আমাদের সিটের সংখ্যা কিন্তু বিজ্ঞান বিভাগে একেকটা সেক্টরের জন্য একেকভাবে প্রস্ততি নিতে হয় যেটা আমাদেরও নিতে হয় তবে, ইংরেজী, বাংলা, ব্যবস্থাপনা, ফিন্যান্স/মার্কেটিং, হিসাববিজ্ঞান, গণিত এবং সাধারণ জ্ঞান যদি তুমি ভালমত পড় তবে তুমি একটা কমপ্লিট ভর্তি পরীক্ষার প্রিপারেশন নিতে পারবে।

 দ্রুত সফল হওয়া সম্ভব

ব্যবসায় শিক্ষা শাখার সবচেয়ে ভাল দিক কোনটা জানো? তোমার স্কিল ভাল থাকলে গ্র্যাজুয়েশনের আগে কিংবা সাথে সাথে তোমার হাতে জব থাকাটা অস্বাভাবিক কিছু না! সেই হিসেবে, তুমি যদি ছেলে হও তবে বেলার বিয়ে ঠিক হওয়ার আগেই তাকে বলতে পারবে, “চাকরীটা আমি পেয়ে গেছি বেলা শুনছো?” আর মেয়ে হলে ৬ ফিট পাত্রের সমান হওয়ার জন্য তোমাকে ফেয়ার এ্যান্ড লাভলী মাখতে হবেনা।

। প্রতিটা বিষয়ই ডিমান্ডেবল!

ভার্সিটিতে ভর্তির সময় কোনো বিষয় নিয়েই তোমার ভাবতে হবেনা যে, “অমুক সাব্জেক্ট তো পেলাম, ভবিষ্যতে যে কি আছে?!” শুধু চোখ বন্ধ করে ভর্তি হয়ে যাবে কারণ প্রত্যেকটা বিষয়ের জন্যই আলাদা আলাদা সম্মানজনক জব সেক্টর আছে। এমনকি এই বিষয়গুলো নিয়ে ভালভাবে পড়াশুনা করলে তোমার বিসিএস নিয়েও টেনশন করতে হবে না কারণ তুমি এমনিতেই অনেক ভাল একটা ভবিষ্যৎ পেতে যাচ্ছো।

৮। অন্যের উপর নির্ভরশীলতা কমায়

ব্যবসায় শিক্ষা তোমার অনেক রকমের স্কিল ডেভেলপ করতে সাহায্য করবে। ব্যবসায়ের, ব্যবস্থাপনার, আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির অনেক কৌশল শেখাবে যা ভালভাবে রপ্ত করতে পারলে তোমার চাকরীর পেছনে ছুটতে হবেনা বরং তুমি নিজের এবং তোমার মত অনেকের আয়ের ব্যবস্থা নিজেই করে ফেলতে পারবে।

 যোগাযোগমূলক এবং প্রতিনিধিত্বমূলক দক্ষতা উন্নয়ন

এই বিভাগে তুমি যেই বিষয়েই পড় না কেনো, তোমাকে অনেক রকমের প্রেজেন্টেশন, রিপোর্ট রেডি করতে হবে যার দ্বারা তোমার আউটার নলেজ বৃদ্ধি পাবে এবং তুমি যেকোনো কিছুই সুন্দর করে উপস্থাপন করতে পারবে। বিবিএ করার সময় তুমি অনেক রকমের বিজনেস রিলেটেড ক্লাবে জয়েন করার সুযোগ পাবে যেখানে তুমি অনেক স্কিল্ড মানুষদের সাথে চলাফেরার সুযোগ পাবে, অনেক ধরণের কাজ করার সুযোগ পাবে।

 ১০। দেশের স্বার্থে

একটা দেশের উন্নয়নে বিজ্ঞানের প্রয়োজন আমরা সবাই জানি কিন্তু দেশটার আর্থিক উন্নয়নে ব্যবসায়, বাণিজ্য, ব্যাংকিং ও বীমা কী পরিমাণ অবদান রাখে সেটা তুমি চিন্তাও করতে পারবে না। এসব জিনিষ ছাড়া বাংলাদেশ কখনোই আর্থিকভাবে সমৃদ্ধশালী হতে পারবে না আর অর্থনৈতিক উন্নতি না আসলে এই দেশে কোনো রকমের বৈজ্ঞানিক গবেষনা হবে না।
কিন্ত সমস্যা হচ্ছে, পশ্চিমে এমনকি পাশের দেশ ভারতেও ব্যবসায় শিক্ষা অনেক সমাদৃত হলেও বাংলাদেশে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী এবং তাদের মা-বাবা বিজ্ঞান বিভাগের প্রতি বেশি আগ্রহী ফলশ্রুতিতে, ব্যবসায় শিক্ষা শাখার পরিধিটা এখানে আশানুরূপভাবে বাড়ছে না। তাই বর্তমানে শিক্ষার্থীরা যত বেশি ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় আসবে তত বেশি এই শাখার এবং আল্টিমেটলি দেশের উন্নতি হবে।
Image result for ব্যবসায় শিক্ষা

মানবিক বিভাগে পড়াশুনা করলে ভবিষ্যতে কি কি করা যেতে পারে

এসএসসি এবং এইচএসসিতে মানবিক বিভাগে পড়াশুনা করলে ভবিষ্যতে কি কি করা যেতে পারে


অনার্সে সমাজবিজ্ঞান বিষয়ে মনোবিজ্ঞান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সামাজিক আইন, দুর্য়োগ-ব্যবস্থাপনা, সামাজিক সমস্যা বিশ্লেষণ,এনজিও, মানবাধিকার, সামাজিক নীতি, জনবিজ্ঞান, প্রকল্প ব্যবস্থাপনা, সামাজিক গবেষণা, পরিসংখ্যান ও কম্পিউটার বিষয়ে পড়ানো হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন কলেজে সমাজবিজ্ঞান পড়ানো হয়।
Image result for মানবিক বিভাগে পড়াশুনা করলে ভবিষ্যতে কি কি করা যেতে পারে


সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিসিএস ক্যাডারে যোগদান করা ছাড়াও দেশের ব্যাংক, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠন,বিভিন্ন প্রাইভেট ফার্ম, শিক্ষাকতা, বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান গবেষক হিসেবে এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থায় চাকুরি লাভ করে থাকে।
সমাজকল্যাণ/ সমাজকর্ম
(Social Welfare/ Social Work)
সমাজকর্ম মূলত একটি পেশা। আমাদের দেশে এটি এখনও পেশা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত না হলেও বিদেশি এনজিও সহ বেসরকারি প্রতিষ্ঠন ও সরকারি চাকুরির সুবিধা রয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিষয়ে এমফিল এবং পিএইচডি করা যায়। বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিশেষ করে USA, UK Australia, Canada) সমাজকর্মের বিভিন্ন বিষয়ের উপর উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করা যায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কলেজে সমাজকল্যাণ পড়ানো হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে এর নাম সমাজকর্ম।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক (International Relation)
ঢাবি, জাবি, চবি-তে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে অনার্স কোর্স পড়ানো হয়। তবে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন সংখ্যা অত্যন্ত সীমিত।
উপরোক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ হতে এ বিষয়ে মাস্টার্স ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ রয়েছে। তাছাড়া USA, Canada, Australia ও Europe- এর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় হতে উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ আছে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত মালটিন্যশনাল কোম্পানী, মানবধিকার সংগঠন সমূহ, বিভিন্ন এনজিও, বিদেশি সংস্থা, আন্তর্জাতিক সংগঠন ও পররাষ্ট্রবিষয়ক ক্ষেত্রে চাকুরির সুবিধা রয়েছে। এছাড়াও
(ক) অনার্স ও মাস্টার্স প্রথম শ্রেণী প্রাপ্তির সুবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার সুযোগ রয়েছে ।
(খ) বিসিএস এর মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগ প্রাপ্তির সুযোগ রয়েছে।
Image result for মানবিক বিভাগে পড়াশুনা করলে ভবিষ্যতে কি কি করা যেতে পারে
লোকপ্রশাসন (Public Administration)
ডিমান্ড সম্পর্কিত আলোচনায় লোকপ্রশাসনের ভবিষ্যৎ কি, তা অনেকটাই স্পষ্ট হয়েছে। ভাল ও সুন্দর রেজাল্ট করলে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকুরির সুযোগ রয়েছে। লোকপ্রশাসনে বিসিএস ও সরকারি কর্ম-কমিশনে রয়েছে লোকপ্রশাসনের ছাত্রদের উজ্জ্বল সম্ভাবনা।

বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন মালটিন্যাশনাল কোম্পানী, মানবধিকার সংগঠন সমূহ, বিভিন্ন এনজিও, বিদেশি সংস্থা, আন্তর্জাতিক সংগঠন ও প্রশাসন ক্ষেত্রে চাকুরির সুবিধা রয়েছে। এছাড়াও
(ক) ভাল ফলাফল করার সুবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার সুযোগ।
(খ) বিসিএস এর মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগ প্রাপ্তির সুযোগ রয়েছে।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা
(Mass Communication & Journalism)
বর্তমানে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া যেভাবে বেড়ে চলেছে, সেই সাথে এই বিষয়ের চাহিদাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাছাড়া বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে মিডিয়া একটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে। যে কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে এর চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়টির ব্যাপক চাহিদা থাকলেও এটি মূলত ঢাকা, চট্রগ্রাম ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হয়। এছাড়াও কিছু প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়েও এই বিষয়টি পড়ানো হচ্ছে।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এই বিভাগের শিক্ষার্থীরা ছাত্র জীবনেই চাকুরি পেয়ে যায় এবং বিশাল অভিজ্ঞতা অর্জন করে। এই অভিজ্ঞতা পরবর্তি চাকুরি জীবনে কাজে লাগায়। এই বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিসিএস ক্যাডার হওয়া ছাড়াও বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক হিসেবে এবং বিভিন্ন প্রাইভেট ফার্ম ও এনজিও গুলোতে চাকুরি লাভ করে থাকে।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান
চাকুরির সুযোগ-সুবিধা
১। ভাল ফলাফলের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার সুযোগ রয়েছে। এছাড়া বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের মাধ্যমে সরকারি কলেজসমুহের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
২। নির্দিষ্ট কোন কোটা না থাকলেও বিসিএস প্রশাসনসহ সাধারণ ক্যাডারে রাষ্ট্রবিজ্ঞান ডিগ্রিধারীদেরকে চান্স পাওয়া সহজ।
৩। এছাড়াও বিভিন্ন এনজিও এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞার বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পাওয়ার ভাল সম্ভাবনা।
বাংলা (Bangla)
যেসব শিক্ষার্থী বাংলা ভাষা ও এর বিভিন্ন ধারা এবং আমাদের বাংলা ভাষার যে বিশাল সাহিত্য ভান্ডার রয়েছে তা জানতে এবং এই সমৃদ্ধ ভাষাটির ইতিহাস ‍ও ঐতিহ্য সম্বন্ধে জানতে আগ্রহী তাদের কাছে এই বিষয়ের চাহিদা রয়েছে।
বাংলাদেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জনের পর এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করা যায়।
এছাড়া ভারতসহ অন্যান্য কিছু দেশে এ বিষয়ের উপর উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করার সুযোগ আছে।
এই বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ হবার পর শিক্ষার্থীরা সাধারণত বিসিএস-এর মাধ্যমে চাকুরিতে যোগদান করে। এছড়াও বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, স্কুলের শিক্ষক হিসেবে, বিভিন্ন প্রাইভেট ফার্ম, ব্যবসা-বাণিজ্য ও ব্যাংকের চাকুরিকে তারা পেশা হিসেবে গ্রহণ করে থাকে।


শান্তি ও সংঘর্ষ
(Peace & Conflict)
শান্তি ও সংঘর্ষ বাংলাদেশে একেবারেই নতুন একটি বিভাগ। যার ফলে এর চাহিদা এখনও পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। পরিবর্তনশীল বিশ্বে শান্তি ও সংঘর্ষ বিভাগের চাহিদা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে শুধুমাত্র বাংলাদেশেই এই বিভাগটি থাকার কারণে এবং একটি নতুন বিভাগ হবার কারণে দেশী ও বিদেশী শিক্ষার্থীদের মাঝে এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ায় শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই এ বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু রয়েছে।
দেশে কোথাও মাস্টার্স এর পর উচ্চ শিক্ষার কোন ব্যবস্থা নেই। তবে এশিয়ার বাইরে ইউরোপে এ বিষয়ে উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণার প্রচুর সুযোগ রয়েছে।
যেহেতু শান্তি ও সংঘর্ষ বাংলাদেশে একটি নতুন বিভাগ এবং এখন পর্যন্ত মাত্র দুইটি ব্যাচ এ বিভাগ থেকে পাস করেছে তাই চাকুরির ব্যাপারে কিছু বলা না গেলেও এ বিভাগ থেকে শিক্ষার্থীরা শিক্ষাকতা ছাড়াও বিসিএস ক্যাডার, গবেষক, বিভিন্ন এনজিওর কর্মকর্তা হিসেবে পেশা শুরু করতে পারে।
Image result for মানবিক বিভাগে পড়াশুনা করলে ভবিষ্যতে কি কি করা যেতে পারে
ইতিহাস  (History)
ইতিহাস বিভাগে ইতিহাস ছাড়াও ইতিহাসের সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোও পড়ানো হয়। যেমন- রাষ্ট্রবিজ্ঞান, অর্থনীতি, নৃবিজ্ঞান, দর্শন ইত্যাদি। তবে এসব বিষয়ে পূর্ণজ্ঞান না দিয়ে ইতিহাস সম্পর্কিত জ্ঞানই প্রদান করা হয়।
Image result for মানবিক বিভাগে পড়াশুনা করলে ভবিষ্যতে কি কি করা যেতে পারে
 প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক সময় পর্যন্ত যুগ ও কালের ঐতিহাসিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক জ্ঞান প্রদান করা হয় ইতিহাসে।
বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যেখানে এই বিষয় পড়ানো হয় সেখান থেকে মাস্টার্স এর পর এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করা যায়।
অন্যান্য বিভাগের মতো এই বিভাগের শিক্ষার্থীরাও বিসিএস-এর মাধ্যমে চাকুরিতে যোগ দিতে পারে। তাছাড়া স্কুল/ কলেজ/ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকতা, বেসরকারি সংস্থাতেও পেশা শুরু করতে পারে।
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি
(Islamic History & Culture)
যেসব শিক্ষার্থী মুসলিমদের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ও সমৃদ্ধ শিল্প-সাহিত্য, মুসলমানদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা, ‍মুসলমানদের দর্শন সম্বন্ধে জানতে আগ্রহী তাদের কাছে এই বিষয়ের চাহিদা বয়েছে।
বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে যেখানে এই বিষয় পড়ানো হয় সেখানে থেকে মাস্টার্স এর পর এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করা যায়।
অন্যান্য বিভাগের মতো এই বিভাগের শিক্ষার্থীরাও বিসিএস-এর মাধ্যমে চাকুরিতে যোগ দিতে পারে। তাছাড়া স্কুল/ কলেজ/ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকতা, বেসরকারি সংস্থাতেও পেশা শুরু করতে পারে।
উইমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিজ
বর্তমানে সারা বিশ্বেই নারী অধিকার নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। জাতিসংঘ এবং এর অঙ্গ সংগঠনসমূহও এ ব্যাপারে বেশ সরব। তাছাড়া জতিসংঘ ঘোষিত MDG (মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল)এর ৮টি পয়েন্টের মধ্যে ১টি পয়েন্ট নারীদের নিয়ে, এছাড়াও অন্তত ২টি পয়েন্ট নারীদের সাথে সম্পর্কিত। সুতরাং এই বিভাগের চাহিদা কিছুদিনের মধ্যে বেশ বৃদ্ধি পবে বলে আশা করা যায়।
এই বিষয়টি শুধুমাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ে গত ৫ বছর ধরে পড়ানো হচ্ছে। এছাড়া উপমহাদেশের অন্য কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েশন করা যায় না।
দেশি-বিদেশি এনজিওগুলোতে জেন্ডার সংক্রান্ত আলাদা একটি বিভাগ থাকে, যেখানে মূলত এই বিভাগের শিক্ষার্থীরা চাকুরি পায়। তাছাড়া এই বিভাগের শিক্ষার্থীরা ‍বিসিএস-এর মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাডার এবং গবেষক ও শিক্ষক হিসেবে তাদের পেশা শুরু করতে পারে।
দর্শন (philosophy)
দর্শন একটি মৌলিক বিষয়। পৃথিবীর প্রতিটি দেশেই এ বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ইনস্টিটিউট বিদ্যামান । ‍
অন্যান্য বিভাগের মতো এই বিভাগের শিক্ষার্থীরাও বিসিএস-এর মাধ্যমে চাকুরিতে যোগ দিতে পারে। তাছাড়া স্কুল/কলেজ /বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা, বেসরকারি সংস্থাতেও পেশা শুরু করতে পারে ।
শিক্ষা ও গবেষণা
(Education & Research)
এ বিষয়ে শিক্ষার সম্যক ধারণা, শিক্ষাদান পদ্ধতি, শিক্ষাবিষয়ক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পরিচালনার পদ্ধতি, শিক্ষাক্রম তৈরি, সময়োপযোগী শিক্ষাব্যবস্থা তৈরির জন্য গবেষণা, শিক্ষাবোর্ড, মন্ত্রণালয়, কারিকুলাম বোর্ড প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানের কার্যাবলী পভৃতি পড়ানো হয় ।
স্কলারশীপ এ বিষয়ে স্নাতক করে প্রতিবছর ৭/৮ জন শিক্ষার্থী মাস্টার্স করার জন্য বৃত্তি নিয়ে দেশের বাইরে যাওয়ার সুযোগ পায়।
বিসিএস, বিসিএস একাডেমী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ, শিক্ষা বোর্ড, পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, নায়েম, শিক্ষা অধিদপ্তর প্রভৃতি শিক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, জেলা ও থানা শিক্ষা অফিসার, শিক্ষা নিয়ে কাজ করছে এমন বিভিন্ন NGO তে কাজ করার সুযোগ আছে ।
সম্ভাবনা
বাংলাদেশে শুধুমাত্র ঢাবিতে এ বিষয়ে অনার্সের সুযোগ থাকায় প্রয়োজনের তুলনায় জনশক্তি কম । তাই সহজে চাকুরি পাওয়ার সম্ভাবনা আছে ।
(Arabic/Persian)
যেসব শিক্ষার্থী আরবী ও ফার্সী ভাষা ও এর বিভিন্ন ধারা এবং আরবী ও ফার্সি ভাষার যে বিশাল সাহিত্য ভান্ডার রয়েছে তা জানতে এবং এই সমৃদ্ধ ভাষাদ্বয়ের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্বন্ধে জানতে আগ্রহী তাদের কাছে এই বিষয় দুটির চাহিদা রয়েছে।
চাকুরি সুবিধা
এই বিভাগ থেকে উত্তির্ণ হবার পর শিক্ষার্থীর সাধারণত বিসিএস-এর মাধ্যমে চাকুরিতে যোগদান করে।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, স্কুলের শিক্ষক হিসেবে, বিভিন্ন প্রাইভেট ফার্ম,ব্যবসা-বাণিজ্য ও ব্যাংকের চাকুরিকে তার পেশা হিসেবে গ্রহণ করে থাকে। বিদেশেও এ ডিগ্রিধারীদের চাহিদা আছে।

ক্যারিয়ার গড়ার টিপস/পার্ট-টাইম-ব্যবসা-ধারনা/idea box

     ১ম কিস্তি..........
ক্যারিয়ার গড়ার টিপস 
 মানুষের ক্যারিয়ার গড়ার কারিগর সে নিজেই। সবারই স্বপ্ন থাকে ভালো কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি করার।
Image result for ক্যারিয়ারImage result for ক্যারিয়ার
জিজ্ঞাসা করুন শিখুন নিজেকে-----
  *সমাজে আপনার কি করতে ভাল  লাগে?
 *কি করতে পারলে- আপনার তৃপ্তি লাগবে?
 *কি করতে পারলে -  মনে হবে অর্থ বিত্ত না পাই  মনের মত কাজ তো  করতে পারি !
 ছাত্রাবস্থায় বুঝতে পারলে অনেক ভালো ! এ সময় ঐ বিষয়ে প্রশিক্ষন নেয়া যায়। ক্যারিয়ার পেতে সবাই সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পড়াশোনাও করে। তবে স্বপ্নকে ধরতে পারে না তাদের কিছু ব্যক্তিগত ও ভাবনাগত অভাবের ফলে। অভাবগুলো এতটাই তীব্র হয় যে, পুরোদমে বিকল করে দেয় ভেতরে পুষে রাখা লালিত স্বপ্নের আকাক্সক্ষা। অনাকাক্সিক্ষত এসব অভাব জয় করেই আমাদের স্বপ্নের লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে। ভালো ক্যারিয়ার গড়তে হলে অনেক বিষয়ই বিবেচ্য। ক্যারিয়ার গড়ার ১০টি গুরুত্বপূর্ণ টিপস নিয়ে আলোচনা করা হল-

১. যে কোনো পরিস্থিতিতে শেখা চাই :
পৃথিবী প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে এবং সবাই ব্যবসায়ের নতুন নতুন পদ্ধতি বের করছে। যদি আপনি মনে করেন আপনার দক্ষতা অনেক বেশি এবং আপনার বর্তমান অবস্থান অনেক ভালো তারপরও আপনাকে বর্তমান অবস্থানে থেকে সবকিছু ভালোভাবে শিখে নিতে হবে। কারণ আপনি যদি ভবিষ্যতে এর চেয়েও ভালো কিছু করতে চান সেক্ষেত্রে আপনার পূর্ব-দক্ষতা এবং জ্ঞান কাজে লাগবে।

Image result for ক্যারিয়ার
২. শুনুন, জিজ্ঞাসা করুন শিখুন :
কথায় আছে একজন ভালো শ্রোতা অনেক কিছু শিখতে পারে। তাই আপনার সহকর্মী, বস এবং গুরুজন যা বলে তা শুনুন। তাদের অভিজ্ঞতা এবং উপদেশ থেকে আপনি অনেক কিছু শিখতে পারবেন। আপনার কাজ সম্পর্কিত যে যে বিষয়ে সমস্যা অনুধাবন করবেন, সে সম্পর্কে তাদের জিজ্ঞেস করে সমাধান জেনে নিন। তাদের কাছ থেকে জেনে নিন কীভাবে আপনার ওপর অর্পিত কাজ সুন্দর করা যায়।

৩. বর্তমান কাজকে মূল্যায়ন করতে শিখুন
আপনার বর্তমান কাজই হতে পারে, আপনার ক্যারিয়ার শুরুর সবচেয়ে ভালো মাধ্যম। এটা সত্য যে, খুব কম মানুষই এটা মেনে নেয়। কোনো কিছুই বিনাশ্রমে আসে না, যারা এটা মানে তারাই সফলকামী হয়। আপনি যদি আপনার বর্তমান কাজের সব দায়-দায়িত্ব আস্থার সঙ্গে পালন করেন, তাহলে এটাই হতে পারে আপনার নতুন ক্যারিয়ার বা ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার গড়ার সিঁড়ি।
যখন যে কাজ আপনার ওপর অর্পিত হবে তা নির্দ্বিধায় করুন। কাজের মাধ্যমেই পারেন আপনি আপনার বসের তথা প্রতিষ্ঠানের আস্থা অর্জন করতে। তাই দেখা যেতে পারে, ভবিষ্যতে আপনার প্রতিষ্ঠানের কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদ সৃষ্টি হলে সেই পদের জন্য যোগ্যতার নিমিত্তে আপনাকে অগ্রাধিকার দেয়া হতে পারে।
Image result for ক্যারিয়ার

৪. সম্পর্ক গড়ে তুলুন
আপনার ক্যারিয়ারের পরবর্তী ধাপ অনেকটা আপনার যোগাযোগের সম্পর্ক এবং সামর্থ্যরে ওপর নির্ভর করে গড়ে ওঠে। আপনি কি জানেন শতকরা ৫০%-এরও বেশি চাকরি হয় জানাশোনা ও সম্পর্কের মাধ্যমে। আপনার সম্পর্কের জাল যদি বিস্তৃত হয়, তবে সেখান থেকে আপনি নতুন নতুন ব্যবসায়িক ধারণা ও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধাসংবলিত ধারণা পাবেন যা আপনার ক্যারিয়ারের নতুন দ্বার উন্মোচন করতে পারে। তাই নতুন সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে এবং তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে জেনে নিতে হবে তারা কেমন আছে, কী করে, ক্যারিয়ারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পদ্ধতি কী কী?

৫. কাজকে গ্রহণ করুন
আপনার বর্তমান কাজ সাদরে গ্রহণ করতে শিখুন। আগে নিশ্চিত হোন যে, আপনি আপনার কাজকে গ্রহণ করেছেন নাকি বাধ্য হয়ে মেনে নিয়েছেন। যদি শেষেরটি হয় তবে আপনার সময় এবং মেধা দুটোরই অপচয় হবে।
যখন আপনি একটি নতুন চাকরি শুরু করবেন, তখন আপনার কাজ, কাজের মূল্যায়ন এবং এ কাজের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে আপনার সহকর্মী কিংবা ঊর্ধ্বতন কারও সঙ্গে আলাপ করে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার ভেতরের চিন্তা-চেতনার পরিবর্তন হতেও পারে।

৬. আপনার কাজ সম্পর্কে নিশ্চিত হোন
আপনার ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার গড়ার চিন্তার আগে ভালোভাবে নিশ্চিত হয়ে নিন যে এটাই আপনার স্বপ্নের কাজ। আপনার স্বপ্নের কাজে সবকিছু আনন্দের সঙ্গে করতে ইচ্ছে হবে আর এর ব্যত্যয় হলে আপনি আনন্দ খুঁজে পাবেন না। আপনি কী ধরনের কাজ পছন্দ করেন? আপনি কি অন্য চাকরিজীবীদের দায়-দায়িত্ব নিতে পছন্দ কিংবা অপছন্দ করেন? আপনি কি প্রযুক্তি বা মানুষের সঙ্গে কাছ করতে পছন্দ করেন? আপনি নিজেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে চান? আপনি কি একজন অভিনেতা, ডিজাইনার বা দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার হতে চান? নাকি ম্যানেজার হতে চান? আপনার ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার গড়ার আগে আপনার লক্ষ্য নির্ধারণ করে নিন।

৭. নিজেকে প্রস্তুত করুন
এক মুহূর্তও অপচয় নয়। আপনার জীবন বৃত্তান্ত এখন থেকে প্রতিনিয়ত আপডেট করুন। কালকেই হয়তোবা আপনার হাতের কাছে ধরা দিতে পারে আপনার স্বপ্নের চাকরি। তাই নিজেকে এবং নিজের জীবন বৃত্তান্ত যথোপযুক্তভাবে গড়ে তুলুন যাতে যে কোনো প্রতিষ্ঠান অনায়াসে আপনাকে নিয়োগ দেয়। যদি আপনি না জানেন কীভাবে সিভি লিখে এবং কীভাবে নিজেকে উপস্থাপন করতে হয় তবে এখন থেকেই তা শিখতে চেষ্টা করুন।

৮. নমনীয়তা
উগ্রতা সর্বদাই খারাপ পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। কোনো কাজই জোরপূর্বক করে নেয়া যায় না। আর জোরপূর্বক করে নেয়া হলেও পরবর্তীতে তার কুফল ভোগ করতেই হয়। তাই উগ্রতা নয়, নমনীয়তায় জীবন গড়াটাই যৌক্তিক।

৯. সহিষ্ণুতা
প্রবাদ আছে, ভালো জিনিস একটু দেরিতেই আসে। কোনো কাজেই তাড়াহুড়া করাটা ভালো না। ত্বরিত যে কোনো কাজের মধ্যে ভুল হওয়ার আশংকা বেশি।

১০. সময় সচেতনতা
প্রত্যেকটা মানুষেরই উচিত সময়ের সঠিক ব্যবহার করা। সময়ের কাজ সময়ে করতে পারলে যে কোনো ব্যক্তিই তার ক্যারিয়ারকে সফল স্থানে নিয়ে যেতে পারবে। অযথা সময় অপচয়কারী প্রয়োজনীয় সময় এসে হাঁপিয়ে ওঠে। ফলে সে তার কাজে ভুল করে। পরে করব বলে ফেলে রাখলে কোনো কাজেরই সফল সমাধান দেয়া সম্ভব নয়। তাই সময় সচেতন হয়ে উঠুন।

Image result for ক্যারিয়ার

রবিবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০১৮

অনুবাদ প্রতিষ্ঠান/পার্ট-টাইম-ব্যবসা-ধারনা/idea box

অনুবাদ প্রতিষ্ঠান

সম্ভাব্য পুঁজি:৫০০০০ টাকা থেকে ২০০০০০ টাকা পর্যন্ত
Image result for অনুবাদ প্রতিষ্ঠান
সম্ভাব্য লাভ:
বাংলা থেকে ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ করতে হলে প্রতি শব্দের জন্য তিন টাকা পারিশ্রমিক ধরা হয়।  আবার ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করলে প্রতি শব্দের জন্য ২ টাকা পারিশ্রমিক ধরা হয়। মাসে ২০ থেকে ৬০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব।
প্রস্তুত প্রণালি:
একজন আদর্শ অনুবাদককে সাহিত্যিক মনোভাবাপন্ন হতে হয়। যার নির্যাস সে অনুবাদে ঢেলে দিতে পারে।
বাজারজাতকরণ:
প্রকাশনা সংস্থা, ছাত্র, শিক্ষক, বই অনুরাগী ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, সংবাদমাধ্যম ইত্যাদি।
যোগ্যতা:
বিভিন্ন ভাষায় দক্ষ হতে হবে।

বিদেশি ভাষা শেখানোর একাডেমী/পার্ট-টাইম-ব্যবসা-ধারনা/idea box


বিদেশি ভাষা শেখানোর একাডেমী

সম্ভাব্য পুঁজি:৩০০০০০ টাকা থেকে ৫০০০০০ টাকা পর্যন্ত
Image result for বিদেশি ভাষা শেখানোর একাডেমী
সম্ভাব্য লাভ:
মাসে ৩০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা।
প্রস্তুত প্রণালি:
যাতায়াতের সুব্যবস্থা  এবং সহজেই দৃষ্টি পড়ে, এমন জায়গা নির্বাচন করতে হবে। তিন থেকে চার কক্ষবিশিষ্ট ৬০০-৮০০ স্কয়ারফুট জায়গা হলেই চলবে। চেয়ার টেবিল, বোর্ড দিয়ে ক্লাসরুম ডেকোরেশন করতে হবে। একটি ফ্রন্টডেস্ক দিয়ে অভ্যর্থনা বা অফিসকক্ষও সাজাতে হবে। এরপর বিভিন্ন ভাষায় পারদর্শী অভিজ্ঞ শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে।
বাজারজাতকরণ:
বিদেশি ভাষা শিখতে আগ্রহী সবাই এ প্রতিষ্ঠানের ভোক্তা।
Image result for বিদেশি ভাষা শেখানোর একাডেমী
যোগ্যতা:
একাডেমি পরিচালনায় দক্ষ হতে হবে। ব্যবসার প্রচারে মনোযোগী হওয়া খুবই দরকার। সুনাম ও মানের ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে।