বেবিকর্ন চাষ | |
সম্ভাব্য পুঁজি: | ৮০০০ টাকা থেকে ১০০০০ টাকা পর্যন্ত |
সম্ভাব্য লাভ: |
প্রতি বিঘা জমিতে ১ টন থেকে ১ হাজার ২০০ কেজি বেবিকর্ন উৎপাদন হতে পারে। প্রতিটি বেবিকর্ন ২ টাকা হলে এবং প্রতি কেজিতে ১৫-২০টি হলে বিঘাপ্রতি ৩০ হাজার টাকার বেবিকর্ন বিক্রি করা সম্ভব। সব খরচ বাদ দিয়ে আড়াই মাসে ১ বিঘা জমি থেকে ২০-২৫ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব।
|
সুবিধা: |
বেবিকর্ণ এক ধরণের সবজী। এ ব্যবসার প্রধান সুবিধা হলো এর চাহিদা প্রচুর এবং এই অনুপাতে উৎপাদন কম বলে এটি লাভজনক ব্যবসা। দেশে প্রতিনিয়ত নানাভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে বেবিকর্ন। উৎপাদনের চেয়ে চাহিদার পরিমাণ বেশি হওয়াতে এ ব্যবসা বেশ লাভজনক।
|
প্রস্তুত প্রণালি: |
প্রথমেই চাষের জমি ঠিক করতে হবে। মাটি রসালো ও ঝরঝরে হলে প্রতি বিঘা জমিতে ৫-৬ কেজি বীজই যথেষ্ট। সারি থেকে সারির দূরত্ব ৩০ ইঞ্চি ও বীজ থেকে বীজের দূরত্ব ৮-১০ ইঞ্চি হবে। প্রতি বিঘাতে ৫০ কেজি গোবর, ৭৫ কেজি ইউরিয়া, টিএসপি ৪০ কেজি, এমপি ৪০ কেজি ও জিপসাম ২৫ কেজি দিতে হবে। বেবিকর্নের পরাগায়নের দরকার হয় না বলে গাছের বয়স ৪০-৪৫ দিন হলে গাছের মাঝখান থেকে পুরুষ ফুল তুলে নিতে হবে। বীজ বপনের ৬০-৭০ দিন পর ফসল সংগ্রহ করা যাবে। বেবিকর্নের মোচার কোসা ২ ইঞ্চি পরিমাণ লম্বা হলে ফসল সংগ্রহ করার উত্তম সময়।
|
বাজারজাতকরণ: |
চায়নিজ রেস্টুরেন্ট, পাঁচতারা হোটেল, ফাস্টফুডগুলো এ ব্যবসার প্রধান ভোক্তা। এ ছাড়া সুপার শপগুলোতেও এর প্রচুর চাহিদা রয়েছে।
|
যোগ্যতা: |
উৎপাদন পদ্ধতি এবং পরিচর্যা জ্ঞান ছাড়া আর কোনো যোগ্যতার প্রয়োজন নেই। আগ্রহীরা বেবিকর্ণ এর বীজ সংগ্রহহের জন্য আপনার পাশ্ববর্তী ব্রাক, কৃষি অধিদপ্তর এর সাথে যোগাযোগ করুন। ঢাকা খামারবাড়িতে অবস্থিত কৃষি খামারের সাথেও যোগাযোগ করতে পারেন।
|
রবিবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০১৮
বেবিকর্ন চাষ/পার্ট-টাইম-ব্যবসা-ধারনা/idea box
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন